নিজস্ব প্রতিবেদন :- বিধানসভা ভোটের পর কেটে গিয়েছে ১ বছর।অথচ এখনও ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার সুরাহা হয়নি।তদন্ত জারি রেখেছে সিবিআই।ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অনেক জনকেই গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী অফিসাররা।আর এবার এই মামলায় নয়া মোড়।ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নতুন করে নাম জড়াল নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের।নাম জড়িয়েছে ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা আবু তাহের,শেখ খুশনবিস সহ আরও একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের।যা নিয়ে তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরে।যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা আবু তাহের বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী একাধিক রাজনৈতিক সভায় গিয়ে বলছেন ১০০ জনের তালিকা তৈরি করেছেন। ঠিক তার পরই দেখা যাচ্ছে সিবিআই নোটিশ পাঠাচ্ছে। এই সব করে তৃণমূলের উন্নয়নকে আটকানো যাবো না। এই নোটিশের জবাব আইনি পথেই দেব। দলের সাথে আলোচনা করেছি। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাব আমরা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামে বিধায়কের চেষ্টায় মাঠ ফাঁকা করতে চাইছেন শুভেন্দু। উনি একজন স্বার্থপর, প্ৰতিহিংসা পরায়ণ লোক। যে সব ঘটনা সম্পর্কে আমি বা আমরা জানিনা সেই মামলায় আমাদের নাম দিয়েছে। তৃণমূল বহু কর্মী আজ আকারণে জেল খাটছে। তাদের আটকানো হচ্ছে প্রভাবশালী বলে। যারা দিন আনে দিন খায়, তারা আবার কীভাবে প্রভাব খাটাবে”?
প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা ভোটে এই নন্দীগ্রামেই নজর ছিল বাংলা পাশাপাশি গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের।কারণ এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্যদিকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।ভোট মিটতেই ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।এবার সেই মামলায় একেবারে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।