নিজস্ব সংবাদদাতা : স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে রেলের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়িটি দেখার পর এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিন ঘটনাস্থলে যান বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্ত ও শিশির বাজোরিয়া। তবে, তাঁদের ওই ভবনের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য কার বা কাদের গাফিলতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের প্রয়োজনীতার কথা বলেছেন তাঁরা।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দমকলের আসতে দেরি হয়েছে। কাউকে দোষ দেওয়া যাবে নাকি কোনও গাফিলতি হয়েছে, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে আমরা আজ সহানুভূতি জানাতে এসেছি।’
তবে এই অগ্নিকাণ্ডের পর রাজ্য বিজেপির নেতাদের ভূমিকা সমালোচনার মুখে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ঘটনাস্থলে যেতে পারেন তাহলে রাজ্য বিজেপির একজন নেতা কেন সেখানে পৌঁছতে পারেন না।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘১০ বছর আগে পার্ক স্ট্রিট অগ্নিকাণ্ডের সময় রাজ্যের তত্কালীন বিরোধী দল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা প্রটোকল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
কিন্তু ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্যের গাফিলতিতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা প্রমাণিত। অবিলম্বে উপযুক্ত ও স্বচ্ছ অগ্নিনির্বাপণ প্রটোকল প্রয়োজন। বাংলায় অসফল পিসি।’এদিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও।
তিনি রেলের গাফিলতির পাশাপাশি, দমকলের উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকারও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এখানে রাজনীতি করা উচিত নয়।