নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধী দলনেতা হলেও জননেতা নন । তিনি শুধু মেদিনীপুরের নেতা। এরকমই অভিযোগ আনেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার দিল্লিতে নিজের বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বিরোধী দলনেতা সহ রাজ্য নেতৃত্বে বেশকিছু নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন| বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তার ব্যতিক্রম নয়। , রোষের মুখে ভিন্ন সুরে কথা বলা সৌমিত্র খাঁ।
২০২- র সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির এক মুখ হয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জিকে পরাজিত করে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলনেতা তবু কেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির এহেন বক্তব্য।
দিলীপ ঘোষের কথায় শুভেন্দু অধিকারী এক আলাদা আবরণ তৈরি করে রেখেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্তের কাছে। দিলীপ ঘোষের মেদিনীপুরে বিরোধী দলনেতার জনপ্রিয়তা থাকলেও সারা বাংলার মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা কম।
ইদানিং রাজ্য বিজেপির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পরপর অনেক নেতা দল ছেড়ে দিচ্ছে। গত রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তিন বছর পর তৃণমূলে যোগ দেন। এই কথা মাথায় রেখে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ইঙ্গিত করেন আরও কেউ দল ছাড়তে পারে। সেই অবস্থান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ” সুকান্ত ভালো মানুষ হলেও চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেন না । আমি চোখে চোখ রেখে কথা বলতাম। তাই লোকসভা ভোটে ফল ভালো হয়েছিল। সংগঠনও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছিল। এখন সংগঠন দিন কে দিন দুর্বল হচ্ছে।”