নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবারের টাকার পাহাড়ই যে শেষ নয়, তা আগেই বুঝেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১০দিনের হেফাজতে পেয়েই খান্ত থাকেননি তাঁরা। একসঙ্গে লঘরিয়া রথতলা ক্লাবটাউন আবাসন, বালিগঞ্জ প্লেস ইস্ট, কসবা, রাজডাঙ্গা মেইন রোড, চিনার পার্ক আটঘরা পূর্বপাড়ায় একই সঙ্গে বুধবার হানা মেরেছে ইডি। এমনকী বেলঘরিয়ার দেওয়ান পাড়ায় তার পৈত্রিক বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। অর্পিতার বৃদ্ধা মা প্রবেশে বাধা দিলে তাঁকে বাইরে এনে ঘরের ভেতর তল্লাশি চালানো হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রথতলার আবাসনেও মিলেছে নগদের হদিশ। লকার খুলতে চাবিওয়ালাকে ডেকে আনা হয়। এরপর ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা টাকা গোনার মেশিন নিয়ে হাজির হন আবাসনে। ঠিক যেন শুক্রবার রাতের পুনরাবৃত্তি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠর বাড়ি থেকে এই যখের ধন উদ্ধার হওয়াকে হিমশৈলের চূড়া মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা তার ঘনিষ্ঠদের বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন ‘আমার বেলঘরিয়ার বাড়িতে কেউ যায়নি তো?’ প্রশ্ন, এমন কী রয়েছে সেই বাড়িতে যে অর্পিতা এতো ভয়ে ছিলেন।
আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ইডির হাতে। তিনটি কোম্পানিতে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তারই ভগ্নিপতি কল্যাণ ধর। ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড, সিমবায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর পদে বহাল অর্পিতা। যদিও জয়েন্ট ডিরেক্টর পদ নিয়ে সম্পূর্ণ অজানা কল্যাণবাবু। তাঁর কথায়, ‘আমি গাড়ির চালক হিসেবে কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। এসব (জয়েন্ট ডিরেক্টর) বিষয়ে জানিই না।’ তথ্য অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর ২০১৮ থেকে যুক্ত রয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, প্রত্যেক বছর সই ছাড়া বিগত পাঁচ বছর কীভাবে একটা কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে তিনি থেকে গেলেন? এই বিষয়টিও নজরে এসেছে ইডির।