নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তর পূর্ব অঞ্চল থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। অন্য একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও সিকিম-উত্তরবঙ্গ থেকে ছত্রিশগড় পর্যন্ত রয়েছে। এই নিম্নচাপের জন্যই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়।
এর ফলে আগামী দু-তিন দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গাতেই বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিপাতের ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে। ১০ তারিখ থেকে আরও বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। ১১ তারিখ উত্তর বঙ্গোপসাগরে ওপরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেই নিম্নচাপের হাত ধরেই মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে পশ্চিমবঙ্গে, শুরু হবে বর্ষা।
মৌসুমী বায়ুর জন্যই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিপাত। তার জেরেই আগামী দু-তিন দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে বজ্রপাতেরও সতর্কতাও জারি করা হল রাজ্যে।
এদিকে সোমবার বজ্রপাতে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন। মঙ্গলবার বাজ পড়ে বীরভূমে মৃত্যু হয় ২জনের। রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করায় এই বৃষ্টিপাত হবে।ইয়াসের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। উপকূলবর্তী এলাকার বহু মানুষ এখনও গৃহহীন। তাঁদের অবস্থা পরিদর্শনে এই মুহূর্তে বাংলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসন ছাড়াও সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ এগিয়ে এসেছেন। তার মধ্যে বর্ষা ঢুকে পড়ায় বিপদ বাড়বে বই কমবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে মত্স্যজীবীদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।