নিজস্ব সংবাদদাতা : অনুষ্কা দে। বয়স ১৮ বছর। চুঁচুড়া শিক্ষামন্দির স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল অনুষ্কা দে। পরিবারের দাবি, গত ৯ জানুয়ারি স্কুলে কোভিড ভ্যাকসিন নেয় সে। তারপর জ্বর আসে। জ্বর আসায় প্যারাসিটামল খায়। তারপর আর দুদিন জ্বর আসেনি। তবে হাতে ব্যথা ছিল। হাতে ব্যথা হওয়ায় বরফ দেন বাবা সুব্রত দে। শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। মাথা ব্যথা শুরু হয়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে, এই অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। নেতিয়ে পড়ে সে।
রাতেই তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর । পরিবারের দাবি, টিকা নেওয়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে অনুষ্কা। তাঁদের মেয়ের আর অন্য কোনও অসুস্থতা ছিল না। এপ্রসঙ্গে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইঞা জানিয়েছেন, ঘটনাটি সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। বহু ছাত্রছাত্রী টিকা নিচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটেনি। কী কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
পাশাপাশি, সামনে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন ভীতির কারণে ওই ছাত্রীর বাবা, মা, দাদা অর্থাত্ গোটা পরিবারের কেউই এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা নেননি। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বাসিন্দা দশম শ্রেণীর ছাত্র ইউসুফ মোল্লার মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। মৃতের পরিবারের দাবি টিকা নেওয়ার পরই ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করার পাশাপাশি বাড়িতে পেটে ব্যথার সমস্যার কথা জানায় ওই ছাত্র।
এরপরই তাকে প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এবং পরে কালনা মহকুমা হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চলছিল ওই ছাত্রের।ইউসুফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এরপরই মৃতের পরিবার দাবি করে ভ্যাকসিনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের।