নিজস্ব প্রতিবেদন :- আবারও করোনার বাড়বাড়ন্ত চিনে । জারি হয়েছে লকডাউন । তবে ভারতে অনেকটাই কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । রাজ্যের ছবিটাও প্রায় একই রকম । গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন । যা অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে চিকিৎসক ও প্রশাসন মহলকে । কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা । বাড়ছে সুস্থতার হার ।
আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের একাধিক কোভিড হাসপাতালগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । একই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালেও । মূলত, করোনা সংক্রমণ কমার জন্য কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার থেকে বালুরঘাট নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রে থাকা কোভিড হাসপাতাল বন্ধ হচ্ছে। জেলায় সংক্রমণ না থাকায় আপাতত সেই হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ।
এদিকে, করোনা হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার ফলে কর্মহীন প্রায় ২৪ জন স্বাস্থ্য কর্মী। যাঁরা মূলত অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। এদিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে একটি করোনা ইউনিট রাখা হচ্ছে। করোনা সংক্রমিত গুরুতর রোগী হলে তাঁকে সেখানেই চিকিৎসা করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। অন্যদিকে, কর্মহীনদের দাবি কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা পরিষেবা দিয়েছিলেন, সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন তাঁদের পাশে দাঁড়াক সরকার ৷ বকেয়া বেতনের পাশাপাশি বিকল্প কাজের দাবি জানিয়েছেন কর্মহীন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, করোনার যখন শিরে সংক্রান্তি অবস্থা, তখন বালুরঘাট শহর লাগোয়া চকবাখরে অবস্থিত নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রকে করোনা হাসপাতাল করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে শেষ পর্যন্ত মোট ৮৫ টি বেড ছিল। যার মধ্যে ৯ টি সিসিইউ বেড ছিল। গত এক মাস থেকে ওই হাসপাতালে একজন রোগীও নেই। জেলা জুড়ে সাকুল্যে দু’একজন করে সংক্রমণ হচ্ছে। যার ফলে তারা বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। এছাড়াও ওই হাসপাতালের কাজের জন্য বেশ কয়েকজন অস্থায়ী নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। মোট নার্স ছিল ১৩ জন, কোভিড যোদ্ধা ৪ জন ও সহকারী হিসেবে আরও ৭ জন ছিলেন। এই ২৪ জনের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ২০ জনকে নিয়োগ করেছিল। বাকি ৪ জন কোভিড যোদ্ধা রাজ্য থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এদিকে কোভিড হাসপাতাল বন্ধের ফলে কার্যত তাঁরাও কাজ হারাচ্ছেন৷ কী করে এখন তাঁদের দিন চলবে তা ভেবেই শিউরে উঠছেন।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সুকুমার দে বলেন, “জেলায় কোভিড সংক্রমণ নেই। হাসপাতালে রোগী আসছে না। যার ফলে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের করোনা হাসপাতালটি আমরা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। আপাতত বালুরঘাট সদর জেলা হাসপাতালে একটি আলাদা করোনা ইউনিট খোলা হচ্ছে। সেখানেই সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা করা হবে। কবে বন্ধ হবে, তা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই তা বন্ধ হবে।”