নিজস্ব প্রতিবেদন :- স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে । সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন দাবি প্রতিবেশীদের । মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার চড়ক তলায়। মৃতের নাম মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পরই পলাতক স্বামী । অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ।
দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক বিবাদ । বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে সন্দেহ করত স্বামী । কিন্তু সেই পরিণতি যে এমনও হতে পারে সে কথা হয়ত কেউই ভাবেনি । প্রায় প্রতিদিনই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে চলত বচসা । বচসা পৌঁছত হাতাহাতিতেও । স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি বেধেছিল । বেশ কিছুক্ষন চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা । এরপরই যেন নীরবতা বিরাজ করতে থাকে । আর তাতেই কিছুটা সন্দেহ হওয়া পাড়া প্রতিবেশীর ।
মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীরা কিছুই টের পাননি। ঘরের বাইরে থেকে চাবি দেওয়া ছিল। সেই চাবি নিজের মায়ের কাছে রেখে চলে যান অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। প্রথমে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনেছিলেন প্রতিবেশীরা। পরে সব চুপ হয়ে যায়। সন্দেহ হওয়ায় তৎপর হন তাঁরা । বাবু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দরজা খোলেন তাঁরা । এরপরই চক্ষু চড়কগাছ প্রতিবেশীদের । তারা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন মৌসুমী। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেহ।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রতিবেশী জানান, অনেক দিন ধরেই সমস্যা ছিল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। তাঁরাও বাবা-মায়ের সমস্যার কথা জানতেন। প্রতিবেশীদের দাবি, মৌসুমী হাসি-খুশি মহিলা ছিলেন। তিন-চার বাড়িতে কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে হাসিমুখে সামলাতেন বাড়ির সব কাজ সামলাতেন তিনি। সবার সঙ্গে কথা বলতেন বলেই স্বামীর সন্দেহ ছিল তাঁর ওপর। প্রতিবেশী, আত্মীয়রা বারবার বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আর সেই সন্দেহের জেরেই মৌসুমীকে খুন করেছে বাবু এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের । যদিও এখনও অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ ।