নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার বেআইনি আর্থিক লেনদেনের উপর নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির।যার সুলুক সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।তবে তাদের নজর যে অশোকনগর তা মূলত পরিষ্কার। অশোকনগরে তিনটি জায়গায় একসঙ্গে অভিযান চালালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
কলকাতা ও তার সংলগ্ন জেলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ওপর নজর দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। হদিশ পাওয়া গিয়েছে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের। তাই অপরাধীদের ধরতে শুক্রবার ভোর থেকেই কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো ইডির আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানো হয় অশোকনগর, দমদম, বাইপাস লাগোয়া একাধিক স্থানে। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একই সঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ এই রাজ্যের সাত-আটটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। যার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা অশোকনগর এর তিনটি জায়গায় একসঙ্গে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মূলত অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধা যিনি বর্তমানে বাংলাদেশে থাকেন সেখানে ছাত্রী সংস্থার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ মাছ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এমনকি ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা বেআইনি লেনদেন করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে অশোকনগর এলাকায় একাধিক বাড়ি এবং দোকান রয়েছে অশোকনগরের বাসিন্দা তথা বাংলাদেশে বসবাসকারী সুকুমার মৃধার। জানা যাচ্ছে ওই এলাকার প্রশান্ত হালদার মারফত এদেশে টাকা নিয়ে আসেন সুকুমার। তদন্তকারী গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে মাছের ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালার মাধ্যমে এ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জমি জায়গা কিনে সুকুমার মৃধা। যার কারণে অশোকনগরের সুকুমার মৃধাসহ প্রণব হালদার ও স্বপন বিশ্বাস বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই সুকুমার মৃধার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকি জানা যাচ্ছে সুকুমার মৃধার সাথে বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যে টাকা আসতো তা এদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী খাটিয়ে জাঁকিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল সুকুমার।