নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি ছিল তারা অনলাইনেই ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষাটি দিতে চায়। তার জন্য সোমবার দুুপুর থেকে ঘেরাও করা হয় উপাচার্য ও অধ্যাপকদের। মঙ্গলবারও অবস্থান চলতে থাকে। অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তারপর অসুস্থ সুরঞ্জন বাবু বেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আটকে আছেন সহ-উপাচার্য সহ একাধিক অধ্যাপক।
যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠন ‘জুটা’র বেনজির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ‘পরীক্ষা হতে হবে অফলাইনেই।’ জুটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ছাত্রদের দাবি মেনে অনলাইনে পরীক্ষা হলে, পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে সরে দাঁডাবেন সব অধ্যাপক।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে ঘেরাও করে রেখেছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা ঘেরাও করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সহ একাধিক শিক্ষককে। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা নিতে হবে অনলাইনে। কম্পালসারি ট্রেনিং-এর জন্য অনেক পড়ুয়া মেস ছেড়ে বাইরে চলে গিয়েছেন। তাঁদের পক্ষে থাকার জন্য হোস্টেল না পেলে অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, এই বিষয়ে উপাচার্যর সঙ্গে দেখা করার পরেও মেলেনি সদুত্তর। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,হোস্টেল থাকার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হলেও একজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সহ আবেদন জানিয়েছেন মাত্র ৯ জন। সেই জন্য হোস্টেলে থাকার জন্য আবেদন করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন জুটা।