নিজস্ব প্রতিবেদন: জঙ্গলমহলে শুরু শিকার উৎসব। ফের পশু হত্যা। তারই সাক্ষী থাকল পুলিশ এবং বনদপ্তরকর্মী। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, পশু হত্যার বিরুদ্ধে। কিন্তু কে কার কথা শুনে? নির্দ্বিধায় চলল পশু বলি। প্রাণ হারাল নিরীহ পশুর। কিছুদিন আগেই জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের হাতে প্রাণ হারায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। কড়া হয় জঙ্গলমহলের পুলিশ প্রশাসন ও বনদপ্তরের বিভাগ।
শিকার উৎসব প্রতিরোধের বিরুদ্ধে, লিফলেট বিলি ও সচেতনতার প্রচার চালিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু তারপরও সমস্ত নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়ে দিয়ে রমরমিয়ে শিকার উৎসব শুরু জঙ্গলমহলে। এই প্রসঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুক্তি, ‘এই বিষয়টি আমরা বন্ধ করতে পারব না। প্রশাসন বলছে ঠিকই কিন্তু আমরা শিকার তো করছি না, জঙ্গলে যাই, পুজো করি, দু’একটা বন শুয়োর মারি আর একটা বড় শিকারও করি। জঙ্গলে যাওয়া বন্ধ করতে পারব না।’
পাশাপাশি বনদফতরের বিট অফিসারের বক্তব্য, “আমরা চেষ্টা করেছি। এক মাস ধরে প্রচার করা হয়েছে। মানুষকে বোঝান হয়েছে। এটা ওদের সংস্কৃতি। আমরা জোর করে তাই ওদের বোঝাতেও পারছি না। তবে, আমরা যাব জঙ্গলে এখনও অবধি শিকারের কোনও খবর মেলেনি।” অথচ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অন্য ছবি, বলির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিছু বন্য শুকর এবং খরগোশকে। আর যেখানে পুলিশ প্রশাসন ও বনদপ্তরের কর্মী দাঁড়িয়ে আছে। কেবল তারা দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। জঙ্গলমহলের শিকার উৎসব বন্ধ করা যে প্রশাসনের কাছে যে কতটা চ্যালেঞ্জিং তা আবারো বুঝিয়ে দিল আদিবাসী সম্প্রদায়।