নিজস্ব প্রতিবেদন: শহর এবং শহরতলীতে একের পর এক দুর্ঘটনা নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার সেরকম মেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী কামারহাট এর রেল বস্তিতে শনিবার হঠাৎই আগুন লেগে যায়। এই ঘটনার জেরে সেই আগুনে ঝলসে যায় বছর ৬-র শিশু। ঘটনাস্থল দেখে তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনাস্থানে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে উপস্থিত হয় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। প্রায় ২ ঘন্টা প্রচেষ্টার পর অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই আগুন লাগার প্রাথমিক অনুমান করছে দমকল কর্মীরা, গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এই ফাগুনের ছেড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কামারহাটি। শিশু-মহিলা সহ গুরুতর জখম ৬। তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কামারহাটির মসজিদ মোড়ে একটি অটোরিক্সা গ্যাস রিফিলিং এর দোকানে এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, ডোমেস্টিকাল গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস কাটাই করে অবৈধভাবে অটোতে গ্যাস ভরা হচ্ছিল। সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে দোকানের ভেতর। ঘটনায় এক শিশু ও মহিলা সহ ৬ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বেলঘড়িয়া ও খড়দহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। প্রথমে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ভুল ভাঙে। রাস্তার ধারেই একটি দোকান তখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। ভিতর থেকে ভেসে আসে গোঙানির শব্দ। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।