কালীঘাটে দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও পদাধিকারীদের বৈঠকে এ দিন সংগঠন নিয়ে নিজের মত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে সংগঠনের সাপ্তাহিক পর্যালোচনা করবেন নিজেই। প্রতি শুক্রবার কালীঘাটের অফিসে নেতাদের প্রয়োজন মতো ডেকে কথা বলবেন তিনি। দলে পুরনোদের সম্মান দেওযার কথা বলেছেন তিনি।
পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বেও ‘সিলমোহর’ দিয়ে মমতা বলেন, ‘অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন, মমতাদি না থাকলে দল করব না। তাঁরা কারা?’ তার পরেই তাঁর বার্তা, ‘তা-ই যদি হবে, তা হলে এত কষ্ট করে কেন দল করে দিয়ে যাচ্ছি! ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে কি কংগ্রেস উঠে গিয়েছে ? যাঁরা এ কথা ভাবছেন, তাঁরা চাইলে চলে যান।’
রাজনীতিতে ছাত্র-যুবদের বরাবরই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে মমতা। তবে তাঁদের ভূমিকা কী হবে, সে সম্পর্কে এ দিন নিজের মত জানিয়ে মমতা বলেন, ‘এখনই কেউ টিকিট চাইবেন না। আরও কাজ করুন। অভিজ্ঞতা হোক, তারপর।’ দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ছাত্রযুবদের তৃণমূলের রাজনৈতিক অতীতের পাঠ দিতেও বলেছেন তিনি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রার্থীবাছাই প্রক্রিয়া যে নিজের হাতে রাখছেন সে কথা জানিয়ে মমতা এ দিন বলেন, ‘জেলা সভাপতি, এমএলএ-রা কেউ কাউকে টিকিট দেবেন বলে কথা দেবেন না। সব টিকিট আমি দেব।’