নিজস্ব প্রতিবেদন: আকাশচুম্বিত ইমারত, আর মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। এটাই শহরের অন্যতম চিত্র। সবুজায়ন লোক দেখানো হলেও পরিবেশের কাজে লাগছে না। এমনটাই জানালো জাতীয় পরিবেশ আদালত। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য সচিবকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেখানে বৃক্ষরোপণ নিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে কাগজে-কলমে একাধিক উন্নয়ন হলেও বাস্তবটা আলাদা। বন্ধত্বের একাধিক আধিকারিক তা স্বীকারও করছেন। শুধু যে রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে তা নয়, যত দ্রুত সম্ভব পুরসভা এবং সরকারি দপ্তর গুলিকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।দুই পরিবেশ গবেষক অশ্বিনী সাঙ্খালা এবং ভাস্বতী রায়চৌধুরী পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজ়ারভেশন অব নেচার’ (আইইউসিএন)-এর কাছে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। আর্বান ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড হিডন ডিমলিশোনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর, এমনকী খড়গপুরে দূষণের মাত্রা ব্যাপক। নিউ টাউন এর মত স্মার্ট শহরে যে গাছ লাগানো হয়েছে তার শুধুমাত্র চোখে লাগা বাহারি গাছ। একে বৃক্ষরোপণ বলা যায় না। এর ৮০ শতাংশই টল ট্রি বা লম্বা গাছ নয়। পরিবেশের দূষণ, ধূলিকণা রোধের ক্ষমতা এদের নেই। একাধিক পরিবেশ আইনের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তির মতে, রাজ্য শুধুমাত্র চাকচিক্য রয়েছে। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের সুষ্ঠু পরিকাঠামো নেই। আর একজনের মতে, বাইপাস লাগোয়া এলাকায় ক্রমাগত জমি ভরা চলছে। যা পরিবেশ দূষণের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ জলের উৎসকেও দূষিত করছে।