নিজস্ব সংবাদদাতা :: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাসে আর ২০ জন যাত্রী নয়। এবার থেকে বাসে যত আসন তত জন যাত্রীই তোলা যাবে। তবে দাঁড়িয়ে কাউকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ২০ জন যাত্রীর নিয়ম মেনে বাস চালিয়ে লাভ করা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাসমালিকরা। এবার বেশি যাত্রী তোলার অনুমতি মেলার পর বেসরকারি বাস রাস্তায় নামে কি না তা দেখার। রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি অফিস আগেই খোলার অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ চালানোর কথা বলা হয়েছিল তখন। কিন্তু অফিস খুললেও তো অফিসে পৌঁছাতে হবে? ফলে রাস্তায় নেমে বিপদে পড়ছিলেন অফিসকর্মীরা। সরকারি বাস থাকলেও বেসরকারি বাসের দেখা নেই রাস্তায়। কারণ বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি ছিল, মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালিয়ে লাভ হবে না। তাই তাঁরা বাসের ভাড়া ন্যুনতম ২০ টাকা করার দাবি তুলেছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাস ভাড়া বাড়ানো যাবেনা। তাই রাস্তায় আর বাস নামায়নি বেসরকারি বাসের মালিকরা।অপরদিকে যেকটা সরকারি বাস চলছিল, সেখানেও ২০ জন যাত্রী নেওয়ায় মাঝ রাস্তা থেকে বাসে উঠতে পারছিলেন না যাত্রীরা। ফলে অফিস চালু হলেও সময়মতো অফিস পৌঁছানো তো দূর, কোনও কোনও দিন যাওয়াই সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে হাজিরা কাটার ভয় করছিলেন বেসরকারি অফিসে কর্মরত মানুষজন। অবশেষে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, এবার বাসে যত সিট থাকবে তত যাত্রীই তুলতে পারবেন বাসকর্মীরা। এই ঘোষণার পর বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি হয়তো ফের বাস নামাতে পারেন রাস্তায়। পাশাপাশি আগামী ৮ জুন থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ১০০ শতাংশ কর্মীকেই কাজে ফেরার ফরমান জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরে তিনি সেটা ৭০ শতাংশ করে দেন। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মকর্তারাই ঠিক করবেন কতজন কর্মী দিয়ে কাজ করাবেন। ফলে আগামী সপ্তাহ থেকেই রাস্তায় আরও লোক বেরোবেন বলেই ধরে নেওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন না চালালে বাসই একমাত্র ভরসা অফিসযাত্রীদের।