হাওড়া থেকে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল এনআইএ। এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মুনতাজ আলি ওরফে রিন্টু। বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে ইলেকট্রনিক ডেটোনেটর সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে এই মুনতাজের ( Muntaj Ali ) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মুনতাজ আলিকে হেফাজতে নিতে চাইছে এনআইএ। এনআইএ-র অনুমান, এই গোটা বিষয়টির সঙ্গে বড়সড় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ ডেটোনেটর কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল ? বীরভূম ছাড়া আর কোথাও কি তা বিক্রি করা হতো ? এ সবই জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ-র দাবি, মুনতাজকে ( Muntaj Ali ) বহুদিন ধরে খুঁজছিল তারা। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে খবর, পেয়ে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
বীরভূম জেলা সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এখানে বৈধ ও অবৈধ পাথর খাদান রয়েছে। খাদান গুলিতে মূলত বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। এসটিএফ কয়েকজন কে ধরেছিল, তারা জেলে ছিল, জামিন পেয়েছে। এখন এনআইএ তদন্ত করলে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিন ডেটোনেটর হল অত্যাধুনিক ডেটোনেটর। এই ডেটোনেটরে প্রোগ্ৰামিং করা যায়। অর্থাৎ কখন, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই অত্যাধুনিক বম্ব ডেটোনেটরের সাহায্যে।
রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স – এসটিএফ সূত্রের খবর, ২০২২ সালে ২৯ জুন গভীর রাতে বীরভূমের মহম্মদ বাজারে একটি এসইউভি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় একাশি হাজার বৈদ্যুতিন ডেটোনেটর। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়। প্রথমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পরে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এনআইএ-র হাতে যায় তদন্তভার।