নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা গার্লস হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন স্বাগতা সাধুখাঁ। বাবা দেবাশিস সাধুখাঁ, মা রাজ্যশ্রী সাধুখাঁ। বাড়ি বেরগুম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, নকপুল লক্ষীপুর। বাবা দেবাশিস বানিপুর হোম-এর সুপারভাইজার,মা গৃহবধূ। তিন বছর আগে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান স্বাগতা। রুশ আগ্রাসনের জেরে ইউক্রেনের কিয়েভে আটকে পড়া বহু ভারতীয়ের তালিকায় রয়েছেন তিনিও।
স্বাগতাকে নিয়ে এখন যত চিন্তা পরিবারের মানুষের। তাঁরা চাইছেন, যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসতে পারে মেয়ে। যুদ্ধের মধ্যে যেন তাঁকে পড়তে না হয়।কিয়েভে MBBS-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া স্বাগতা ছাড়াও ভারতীয় কীর্তিসোম চৌধুরী নামে একজনও আটকে আছেন স্বাগতার সঙ্গে, তিনি পাঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এ দিন ভোররাতে দুই ডাক্তারি পড়ুয়ার ঘুম ভাঙে বোমার আওয়াজে ।
তারপরেই জানতে পারেন রুশ হামলার কথা। ইউক্রেনে উড়ান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আপাতত দেশে ফেরার উপায় নেই তাঁদের। এখনও পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই বলেই পরিবারকে জানিয়েছেন দুজন। এক ভিডিও বার্তায় স্বাগতা সাধুখাঁ জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর শোনা গিয়েছিল আজ থেকে বোমাবাজি, বিস্ফোরণ হবে। ইতিমধ্যেই সেটা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিমান পরিষেবা সম্পুর্ন বন্ধ।
এই পরিস্থিতিতে যে যেখানে আছে সেখানে থাকার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন থেকে ফোনে স্বাগতা জানিয়েছেন তিনি ঠিক আছেন। তবে বিমান পরিষেবা না চালু হকে কী ভাবে মেয়ে দেশে ফিরে আসবে, তানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেবাশিস সাধুখাঁ।