নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার ভোররাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে হোগল নদীর বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে বাসন্তীর রাধাবল্লভপুর গ্রামে। এক এক নদীগর্ভে তলিয়ে যায় ২৯টি বাড়ি। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। বিপদের আঁচ পেয়ে কোনওমতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ফলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
তবে, নদীর প্রবল স্রোতে কার্যত খড়কুঠোর মতো ভেসে গিয়েছে সবকিছু। কোনও কিছু আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। খোলা আকাশে নিচে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা গ্রাম। কেন এমন বিপর্যয়? প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির পর একাধিকবার বাঁধ মেরামতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রশাসন আধিকারিকরা। রাধাবল্লভপুর গ্রামে যান বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধার কাজ। স্থানীয় একটি রেসকিউ সেন্টারে গৃহহীনদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে পুজোর আগে ভিটেমাটি খুইয়ে এখন আকাশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন হতভাগ্য মানুষগুলি।