নিজস্ব প্রতিবেদন :- উস্তির এক আবাসিক মিশনের অষ্টম শ্রেণীর নাবালক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায় । গুরুতর জখম অবস্থায় নাক ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল নির্যাতিত ওই যুবকের । যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল, সারা শরীরে মেরেছিল অত্যাচারের স্পষ্ট ছবি দেখা গিয়েছিল । ওই নির্যাতিত নাবালককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী নার্সিংহোমে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবনতির কারণে সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিত ওই যুবক ।
ঘটনার দিন পর নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আটক করা হল এক অভিযুক্তকে । আবাসিক ও পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত ওই যুবক তার সহপাঠী । এক ঘরেই তারা দুজনেই থাকতো বলেই আবাসিক সূত্রে খবর। মঙ্গলবার অভিযুক্ত নাবালককে তোলা হয় আদালতে।
সোমবার পর্যন্ত নির্যাতিত ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল ওই যুবক । সামান্য স্থিতিশীল থাকলেও এসএসকেএম হাসপাতালে আইসিইউ তে ভর্তি রয়েছে নাবালক । উস্তির
মিশনের ওই নাবালক লড়াই করে যাচ্ছে জীবনের সাথে, মিশনে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে নাবালকের অবস্থা এখনো সংকটজনক অবস্থায়।
নির্যাতিত ওই নাবালকের সাথে দেখা করতে সোমবার হাসপাতলে পৌঁছান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। সেখানে ওই নির্যাতিত নাবালককে দেখার পর শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জানান, সে এখনো কথাই বলতে পারছেনা। এই জঘন্যতম ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা জানার জন্য কাগজ দেওয়া হলেও কিছু লিখে উঠতে পারেনি সে। হাতটুকু তোলার ক্ষমতা নেই তার। বর্তমানে তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
যদিও ওই নির্যাতিত নাবালকের চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি মেডিকেল বোর্ড। পুরো ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এসএসকেএম-এ উপস্থিত রয়েছেন উস্থির পুলিশ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর যে মিশনে ঘটনাটি ঘটেছে সেখান থেকে কোন আধিকারিক বা শিক্ষা কর্মীকে বেড়াতে যাওয়া হচ্ছিলনা মিশন থেকে।
এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে ছাত্রাবাসের সমস্ত ছাত্র এবং দায়িত্বে থাকা কর্মীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। সোমবারই সেখানকার চার জন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে অভিযুক্ত ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর অভিযোগ স্বীকার করে নাই বলে দাবি পুলিশের। অভিযুক্তই ছাত্র ওই এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতিত যুবকের সাথে এক ঘরেই থাকত সে। যদিও মঙ্গলবার ওই স্কুলে পৌঁছেছে শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের সম্পাদক আব্দুর রউফ বৈদ্য জানান, “ঘটনার পর থেকে স্কুলে হোস্টেলে আরো বেশী করে ছাত্রদের প্রতি নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের।”