নিজস্ব প্রতিবেদন :- বিশ্বভারতীর ছাত্র কবল থেকে উদ্ধার হয়েছে এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত বিশ্বভারতী চত্বর। শুক্রবার থেকে উপাচার্যের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন মৃত ছাত্রের পরিবারসহ পড়ুয়াদের একাংশ। সেই বিক্ষোভ এখনও পর্যন্ত অব্যাহত।আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যপালের কাছে সাহায্যের আবেদন করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী।
সেই বার্তা পেয়ে রাজ্যপাল একটি টুইট করেন, আর সেই টুইটে তিনি উপাচার্য যা লিখেছেন তা তুলে ধরেন। টুইটে লেখা,”দয়া করে নিরাপত্তা দিন । আমার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। পুলিশি নিরাপত্তা না দিলে কোন অঘটন ঘটতে পারে”। এই বার্তা মুখ্য সচিবের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। আর তারপর পুলিশের ডিজি সহ জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে এই ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। বর্তমানে উপাচার্যের বাড়ির সামনে পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। আর এই পুরো পরিস্থিতির উপর নজরদারি করছেন খোদ মুখ্যসচিব।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার অসীম দাস নামে এক একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে। সকাল ৬;৪৫ নাগাদ সেই ছাত্রাবাসের অন্যান্য ছাত্ররা গৌড়প্রাঙ্গণে প্রার্থনা করতে আসলেও সেখানে আসেনি অসীম।পরে যখন তাঁর বন্ধুরা হোস্টেলে ফিরে যায় তখন দেখে সেই ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে অসীম।তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী।কিন্তু চিকিত্সক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । আর এর পরেই পরিবারকে জানানো হয় ওই ছাত্রের মৃত্যুর কথা।কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগে তাদেরকে জানানো হয়নি কেন ? এমনকি ওই ছাত্র আত্মহত্যা করতে পারেনা বলেই দাবি পরিবারের।কিভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু হল সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।