নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে অতিমারির প্রকোপ অনেকটাই কম। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে স্কুল কলেজ। তবে, মশা-মাছি বাহিত বেশ কিছু রোগ নিয়ে উদ্বেগ ঠেকাতেই এবার তৎপর হয়েছে রাজ্য। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর স্কুলশিক্ষা দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এছাড়াও তারা আরো জানান, বেশ কিছু স্কুলে জমা জল, বন্ধ হয়ে যাওয়া নিকাশি নালা এবং জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। সেগুলি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দাবি করেন, প্রাথমিক তো বটেই বেশ কিছু মাধ্যমিক স্কুলেও এমন হাল হয়েছে।
এই চিঠি হাতে পেতেই নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষাদপ্তর। তড়িঘড়ি প্রত্যেক ডিআইকে এনিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, ভারত ছ’টি রকমের মশা-মাছি বাহিত রোগের আঁতুড়ঘর। সেই রোগগুলি হল, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জাপানি এনসেফেলাইটিস, কালাজ্বর, লিম্ফেটিক ফাইলেরিয়াসিস এবং চিকুনগুনিয়া। তাই ব্যাপক পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডিআইদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয় জমা জল, আবর্জনা ও বদ্ধ নিকাশি নালা থেকে স্কুলগুলিকে মুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে বলা হয়েছে ডিআইদের। একইসঙ্গে স্কুল প্রাঙ্গণ জীবাণুমুক্ত করার কাজও করতে হবে।
তবে, শুধু স্কুলই নয় কলকাতায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিশাল ক্যাম্পাসেও জল জমা, আবর্জনা জমে থাকার নিদর্শনের আগে পেয়েছেন পুরসভার প্রতিনিধিরা। ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট পুরসভা পুর এলাকাগুলিতে সাফাইয়ের কাজ করে থাকে। স্কুলের ভিতরে, ভবনের ছাদে জল জমে থাকলে তাদের পক্ষে তা সাফ করা সম্ভব হয় না, এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই সাবধানী হতে হবে। স্কুলের প্রধানরা এটাও বলছেন, করোনার দিকে নজর রাখতে গিয়ে এই বিষয়গুলিকে অবহেলিত করা হয়েছে।