নিজস্ব প্রতিবেদন: পাচারের আগেই উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ লাল চন্দন কাঠ। বনদপ্তরের বিশেষ অভিযানে জলপাইগুড়ির তেলিপাড়া চৌপতি এলাকা থেকে প্রায় ৪২০ কেজি লাল চন্দন উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারমূল্য অনুমানিক প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।
জানা গিয়েছে, বন বিভাগের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। সেই মতোই প্রস্তুত ছিলেন বন বিভাগের কর্মীরা। মালবাজারের দিক থেকে একটি ছোট গাড়িতে করে অসমের দিকে লাল চন্দন কাঠ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরপরই ওই গাড়িটিকে ধাওয়া করেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। ধাওয়া করে তেলিপাড়া চৌপতি এলাকায় ওই গাড়িটিকে থামানো হয়। এরপর গাড়িটিকে আটক করে শুরু হয় তল্লাশি। আর তাতেই বেরিয়ে আসে লাল চন্দন কাঠ। গ্রেপ্তার করা হয় দুই যুবককে। বনবিভাগ সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ওই লাল চন্দন কাঠের দাম প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম রোহিত ছেত্রী এবং অমৃত থাপা। তাদেরকে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধৃত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কোচবিহার শহরের একটি মার্কেটের পরিত্যক্ত গুদামঘর থেকে প্রায় তিন টন লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করে বনদপ্তরের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশেষ করে এই চোরাচালানের পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, উদ্ধার হওয়া এই লাল চন্দন কাঠ কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা।