নিজস্ব প্রতিবেদন :- গত বছরের বন্যার রেশ এখনও কাটেনি। যার ফলে বন্ধই রয়েছে ঘাটাল উপ সংশোধনাগারের দরজা।২০২১ সালের আগষ্ট মাসে বন্যার জল ঢুকেছিল ঘাটাল উপ সংশোধনাগারে, বন্দীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কিন্তু বন্যার জল সরলেও জেলখানা চালু হয়নি আজও। ঘাটাল উপ সংশোধনাগার চালু না হওয়ায় জামিনে মুক্ত ব্যক্তিকে জেলখানা থেকে বের করে আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আইনজীবী থেকে পরিবারের লোকদের।
জানা যাচ্ছে, মেদনিপুর থেকে ঘাটালের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার।আইনজীবিদের দাবি এতটা পথ অতিক্রম করতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে ঠিক তেমনই অর্থও অপচয় হচ্ছে।পাশাপাশি জামিনে মুক্ত ব্যক্তিকে সেই দিনই জেলখানা থেকে বের করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে সমস্যায় পরতে হচ্ছে আবাসিকদের পরিজনদের।ঘটনা প্রসঙ্গে ঘাটাল জেল সুপার তথা ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ঘাটালের উপ সংশোধনাগার সম্পূর্ণ সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। এটি খুব শীঘ্রই চালু করা হবে বলেও আশ্বাস দেন ঘাটালের মহকুমা শাসক।
২০২১ সালের ১লা আগস্ট শিলাবতী নদীর বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে বন্যার জল ঢুকে পড়ে ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয় সহ উপর সংশোধনাগারে। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল উপ সংশোধনাগারের বন্দীদের। বন্যার জলের চাপে ভেঙে পড়ে প্রাচীরের কিছু অংশ, নষ্ট হয় জেনারেটর সহ ইলেকট্রিক লাইন। এরপর কেটে গেছে প্রায় একটা বছর।তবুও আজও চালু হয়নি ঘাটালের উপ সংশোধনাগার।এখনও ফিরিয়ে আনা হয়নি আবাসিকদের মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে।