নিজস্ব প্রতিবেদন: লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ দখল করা। দিল্লি থেকে নেতা আনিয়েও দমানো গেল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার কথা বারবার উঠে এসেছে বিজেপির মুখে। অমিত থেকে দিলীপ কেউই বাদ যাননি। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অনুপ্রেরণা’ বলে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আনন্দবাজার অনলাইনের একটি অনুষ্ঠানে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, ‘রাজনীতিতে আপনার শিক্ষক কারা?’ উত্তরে সুকান্ত বলেন, ‘সকলের থেকে শিখছি। রামকৃষ্ণ তাঁর কথামৃততে বলেছেন, যাঁর থেকে শেখা যায় তাঁরাই গুরু। এমনকী, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও শিখি। ওঁর থেকে শেখা উচিত, মানুষকে কীভাবে বোঝাতে হয়। এতবছর মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন উনি।’
বিরোধী নেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্যে আমাদের ব্যর্থতার একমাত্র কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর বিকল্প মুখ বিজেপি দিতে পারেনি। অন্য রাজ্যে পেরেছি বলেই সফল।’ দিলীপের অভিজ্ঞতা, ‘আমি ওঁর বিরুদ্ধে লড়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকে অবাঞ্ছিত মনে করেছিল। মানুষের পাশে যে আছে, সেই রাজনীতিতে থাকবে। অনেকে অনেককিছু বলেছে কিন্তু পাশে থাকেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। মানুষ সেই জবাবই দিয়েছে। আমরা পারিনি।’ বারবার বিজেপির মুখে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরোধিতার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অন্দরের বাতাবরণ এক্কেবারে আলাদা। বাস্তবটা অস্বীকার করতে পারছে না বিজেপিও। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই লড়াই বৃথাই যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প তৈরি করতে এখনও বিজেপির অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।