নিজস্ব প্রতিবেদন : দলের উপর ক্ষোভ দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তিমনোনয়ন জমা দেয় নির্দলে।পথে নেমে বিক্ষোভ করতেও দেখা গিয়েছিল বিক্ষুব্ধদের।এই ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
নির্দল কাঁটায় বিঁধে শাসকদল। তমলুক পুরসভায় নির্দল কাঁটা সরাতে কড়া বার্তা দিলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র । কিন্তু কেউ-কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও অনেকেই করেননি। ফলত ক্ষুব্ধ দল থেকে বহিষ্কার করা হয় অনেককে।
তমলুক পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড। সেখান থেকে তৃণমূলের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছেন তৃণমূলের বিমল ভৌমিক। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ভানুপদ সাহা নির্দল প্রার্থী হিসেবেই মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এই নিয়েই তীব্র অসন্তোষ শুরু হয়।
তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে কর্মীদের নিয়ে প্রচারও শুরু করেছেন তিনি। এই আবহে তাঁকে কড়া বার্তা দিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র । বারবার হুমকি দেয় যাতে দলিয় কর্মসূচি থেকে যাতে নির্দল প্রার্থী ভানুপদ সাহা তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। কিন্তু ভানুপদবাবু তা করেননি। এরপর মন্ত্রী স্বয়ং পৌঁছে যান নির্দল প্রার্থী বাড়ি। সেখানে গিয়ে তাঁকে অনুরোধ করেন যাতে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভানুপদ সাহা নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
এরপর শুক্রবার মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করে ভানুপদ সাহা সহ তার চার জন অনুগামীকে দল বিরোধী কার্য কালাপের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করেন।
এই ব্যাপারে ভানুপদ সাহা জানান, “যদিও নির্দল প্রার্থী এতে আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেছেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে দল করছি। ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমি তিনবার ও আমার স্ত্রী কল্পনা সাহা একাধিকবার কাউন্সিলর হয়েছে।দল এবার প্রার্থী করেছে বিমল ভৌমিককে।কর্মীদের উৎসাহে আমি নির্দল থেকে দাঁড়িয়েছি। দল আমায় বহিষ্কার করলেও আমি এখনও মন থেকে একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী।’ গোটা বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি