নিজস্ব প্রতিবেদন :- ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়েছিলেন এভারেস্টের কথা। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এভারেস্ট জয়ের । বয়স কত বেড়েছে ততই আরও সুদৃঢ় ও হয়েছে স্বপ্ন। বাস্তবে পাহাড় ছুটে ছটফট করছে চন্দননগরের পিয়ালী ।
ছ’ বছর বয়স থেকে পাহাড়ে চড়া শুরু চন্দননগরের পিয়ালী বসাকের। ট্রেকিংয়ে বের হতেন মা-বাবার হাত ধরে। এখন তিনি শিক্ষিকা । এখনো তিনি তার মনের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে চলেছেন । অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে চান চন্দননগরের পিয়ালী বসাক ।
তেনজিং নোরগের সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে আলাপ পিয়ালীর। তাঁর এভারেস্টে ওঠার কাহিনী রোমাঞ্চিত করেছিল চন্দননগরের কানাইলাল প্রাথমিক স্কুলের এই শিক্ষিকাকে। এরপর মা, বাবার হাত ধরে পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে বেরোতেন। সেই থেকেই পাহাড়ে চড়ার নেশা তাঁর উপর জাঁকিয়ে বসে। ২০০০ সালের ১ অগস্ট অমরনাথ অভিযানে গিয়ে জঙ্গি হামলা খুব কাছ থেকে দেখা তাঁর। কেদারনাথে গিয়ে মেঘভাঙা বৃষ্টি, তুষারপাত, ধস থেকে জীবন হাতে করে বেঁচে ফেরা কিংবা সেই সফরেই প্রায় ১০০ জন তীর্থযাত্রীকে বাঁচানোর অভিজ্ঞতাই পিয়ালীকে আরও নিবিড়ভাবে বেঁধে ফেলেছে পাহাড়ের সঙ্গে।
২০২১ সালের ১ অক্টোবর পৃথিবীর সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলাগিরি জয় করেন অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবহার ছাড়াই। তার আগে ২০১৮ সালে অষ্টম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেন তিনি। বহু শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ড রয়েছে তাঁর। এবার তিনি এভারেস্ট জয় করতে চান অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই ।