নিজস্ব প্রতিবেদন:- কালো রঙের একটি বাইক নিয়ে গিয়েছিলেন তেল ভরতে। সামনে লাগানো মানবাধিকার কমিশনের বোর্ড। কিন্তু পাম্পে তেল কম থাকায় জরুরী পরিষেবা ছাড়া তেমন ভাবে কাউকে তেল দেওয়া হচ্ছিল না। যার ফলে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় তেল ভরতে আসা বাইক টিকে। আর এতেই বাধে বিপত্তি। নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের বড় কর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সিবিআই তদন্ত করিয়ে পেট্রোল পাম্প বন্ধের হুমকি এক যুবকের। অবশেষে অভিযুক্ত যুবকের জায়গা শ্রীঘরে। মানবাধিকার কমিশনের বড়কর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার প্রতারণার জাল আর কোথায় কোথায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনা বাঁকুড়া জেলার। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের নাম ইজরায়েল মিদ্যা। জানা যাচ্ছে বাঁকুড়া জয়পুর থানার গেলিয়া এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পে গত ৪ মে তেল ভরতে জান ইজরায়েল। সেখানে তাকে তেল দিতে অস্বীকার করায় মানবাধিকার কমিশনের বড় কর্তার পরিচয় দিয়ে পাম্প মালিকের কাছ থেকে মোটা টাকাতেই বেকায়দায় পড়ে মানবাধিকার কমিশনের পরিচয় দেওয়া সেই কর্তা। অবশেষে ফাঁস হয় তার কীর্তি। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
পাম্প কর্মীরা জানান, তার বাইকে মানবাধিকার কমিশনের একটি বোর্ড লাগানো ছিল, সেই সময় ওই পেট্রোল পাম্পে যথেষ্ট পেট্রোল মজুদ ছিল না যার কারণে শুধুমাত্র আপৎকালীন গাড়ি গুলিকে দেওয়া হচ্ছিল তেল। পাম্পের কর্মীরা বাইকটিতে তেল দিতে অস্বীকার করলে পাম্পেই হম্বিতম্বি শুরু করে ওই যুবক। যদিও পরে পাম্পের অন্যান্য কর্মীদের মধ্যস্থতায় সেখান থেকে চলে যান ওই যুবক।
এরপর এই মানবাধিকার কমিশন সংগঠনের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পেট্রোল পাম্পের মালিক সমিতির শিকদারকে ফোন করে ফাঁকা জায়গায় আসতে বলে অভিযুক্ত যুবক। পাম্প মালিক সেখানে গেলে সিবিআই তদন্ত করে পাম্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। প্রাথমিকভাবে চল্লিশ হাজার টাকা হাতে পেলেও বাকি টাকার জন্য লাগাতার হুমকি আসতে থাকে ফোনে। কিন্তু ওই যুবকের কথায় পাম্প মালিকের সন্দেহ হলে ওই পাম্প মালিক দ্বারস্থ হন জয়পুর থানার। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবক ইজরায়েল মিদ্যাকে। তাকে পেশ করা হয় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। অভিযুক্ত যুবকের আর কোথায় কোথায় প্রতারণার জাল ছড়ানো ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও সিবিআইয়ের নামে হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবক। পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।