নিজস্ব প্রতিবেদন :- হাঁসখালি ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত তথা এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় তৃণমূল নেতা ডন বলে পরিচিত। গত শনিবার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার বাবা-মা। চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় নির্যাতিতার পরিবার ঘটনার দীর্ঘদিন পর বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। রবিবার সকালে তৃণমূল নেতার ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে তাকে জেরা করতেই একাধিক অসঙ্গতি মেলে এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নদিয়ার হাঁসখালির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সূত্রের খবর পুলিশের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ পত্রে গণধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার ছেলে এবং তার সঙ্গীরা নাবালিকার ওপর যৌন অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ পত্র লিখেছেন নির্যাতিতার মা। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযোগ পত্র হাতে পাওয়ার পরও সেই অর্থে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ এমনটাই অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, তৃণমূল নেতার ছেলের সঙ্গে তাঁর সঙ্গীরাও ছিল। তাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তৃণমূল নেতার ছেলের সঙ্গীদেরও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।কেন তড়িঘড়ি ওই নাবালিকার দেহ দাহ করা হলো? কেনই বা পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হল? এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা কী?
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকদিন আগে। ওইদিন নদিয়ার হাঁসখালির গ্যাড়াপোতা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেল গোয়ালির জন্মদিন ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিল মৃতা অর্থাৎ যুবকের প্রেমিকা। স্বাভাবিকভাবেই নাবালিকা গিয়েছিল সেখানে। অনেক রাতে অপরিচিত এক মহিলা নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে আসে। সেই সময় অসুস্থ ছিল নাবালিকা। রাতে অসুস্থতা বাড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ভোরের দিকে নাবালিকার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে যান পরিবারের সদস্যরা। ফিরে এসে দেখেন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি এলাকার বিশেষ কাউকে জানায়নি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে শ্মশানে দাহ করা হয় নাবালিকার দেহ।
এরপর গতকাল অর্থাৎ ৯ এপ্রিল হাঁসখালি থানায় যান মৃতার বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা জানান, জন্মদিনের পার্টির নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক সোহেল গোয়ালি অর্থাৎ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। এরপর মৃতার পরিবারকে ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। সেই কারণেই পুলিশে খবর না দিয়ে নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই চাইল্ড লাইনে খবর যায়।এরপরই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতার ছেলেকে ।