নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। তার উপর যদি জায়গা টা হয় ঐতিহাসিক গন্ধে পরিপূর্ণ, তাহলে তো আর কথাই নেই। তাহলে আর দেরি না করে ট্রেন ধরুন আর বেরিয়ে পড়ুন অজানাকে জানতে। অনেকের জানা হয়তো বা অনেকের অজানা, লর্ড ক্যানিং এর বাংলোয়। দেড়শো বছরের ও বেশি পুরোনো এই অট্টালিকা।উনিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এই অঞ্চলটি ছিল ম্যালেরিয়া প্রবণ ও বাঘ অধ্যুষিত জঙ্গল।
সেই সময়ে হুগলি নদী ছিল বাংলার ব্যাবসা বাণিজ্যের মূল স্পন্দন।কিন্তু একটা সময় হুগলি নদীর গভীরতা কমতে শুরু করে, ফলে পণ্যবাহী জাহাজগুলো কলকাতা বন্দরে যাওয়া আসার সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখন মাতলা ও বিদ্যাধরী নদীর মাঝখানে প্রায় আট হাজার একর জায়গা নিয়ে লর্ড ক্যানিং এর নামে একটি নতুন বন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা হয়।তখন সেই বন্দরকে তদারকি করার জন্য লর্ড ক্যানিং এই অট্টালিকা তৈরি করান।
পরবর্তী কালে এই বাড়ির তদারককারী কর্মচারী জে এম ঘোষ, PORT ক্যানিং কোম্পানির কাছ থেকে এই বাড়িটি কিনে নেন।কিন্তু এই বাড়িটির বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। তাই এই ঘোষ পরিবারের সদস্য, ভগ্নপ্রায় ও জঙ্গলাকীর্ণ বাড়ির মেরামতির খরচ বহনের অক্ষমতার কারণেই হেরিটেজ কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। মাত্র কয়েক মাস আগে, অর্থাৎ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের দিকে এই বাড়িটি একটি ওয়েষ্টবেঙ্গল হেরিটেজ সাইট এর তকমা পেয়েছে।