নিজস্ব সংবাদদাতাঃ টিভির পর্দায় এখনও কাবুলের ভয়ানক পরিস্থিতির ছবি দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন নদিয়ার দুই যুবক সুপ্রিয় মৈত্র ও সনু গঞ্জালভেস।
নদিয়ার রানাঘাটের বেগোপাড়ার বাসিন্দা সুপ্রিয় ও সনু। ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি রহমতের দেশে আমেরিকার সেনা ছাউনিতে শেপের কাজ নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন সুপ্রিয়। তার পরের বছর সেই একই কাজে পাড়ি দিয়েছিলেন সনুও।
রহমত চাচার দেশ তখন বেশ শান্তিতেই ছিল। কিন্তু হঠাৎই পরিস্থিতি গেল বদলে। শান্ত হিন্দুকুশ পর্বতের আনাচে কানাচে আবার দেখা দিতে লাগল তালিবান জঙ্গিদের। ধীরে ধীরে সেই অশান্তির কালো মেঘ পরিণত হল বারুদের কালো ধোঁয়ায়। সেনা ছাউনিতে কাজ করার সুবাদে পরিস্থিতি যে ভালো নয়, তার আঁচ অনেক আগেই করতে পেরেছিল সুপ্রিয় ও সনু।
সেই বর্ণনা করতে গিয়েই এখনও রীতিমতো শিউরে ওঠেন তাঁরা। অবশেষে কিছুটা শান্ত হয়ে ওই দুই যুবক বলেন, চোখের সামনে দেখলাম কিভাবে তালিবানরা কাবুলের এক একটা জায়গা দখল করে নিল। এই তো গত কয়েকদিন আগে পবিত্র ঈদের দিনেও ওরা ২-৪ সাধারণ মানুষকে মেরে ফেললো। আমরা এগুলো ভাবতেই পারি না। সেনা ছাউনি থেকে
চোখের সামনে দেখেছি কান্দাহার বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান নামতে না দেওয়ার জন্য কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটাল। এরপর সুপ্রিয় বলেন, ভগবান আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন। না হলে আমাদের যে কি হতে?
সত্যিই তো। কোনওরকমে জুলাই মাসের শেষে ও আগস্ট মাসের প্রথমে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পরিবারের সকলে। কিন্তু এখন যখন টিভির পর্দায় কাবুলের কোনও শহরের চিত্র দেখেন সুপ্রিয় ও সনু, তখন হয়তো মনে মনে নিজেরাই ভাবেন এটাই কি আমাদের পরিচিত সেই কাবুল! না কি অন্য কোনও জায়গা।