নিজস্ব প্রতিবেদন: পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তরবঙ্গে ফের রেল অবরোধ। মঙ্গলবার ভোর থেকে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে পতাকা হাতে রেললাইনের উপর বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই রেল অবরোধ চলবে। আন্দোলনের জেরে আটকে পড়েছে উত্তরবঙ্গগামী বহু ট্রেন। ফলে এই রুটে যাতায়াতকারী সমস্ত ট্রেনের যাত্রীদেরই যে আজ দুর্ভোগ পোহাতে হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছেন যাত্রীরা।
সকাল থেকে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করেছে। কারণ, সকাল ৬টা থেকে রেল রোকো শুরু হয়েছে ময়নাগুড়িতে। অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। মঙ্গলবার সকালে ত্রিপুরা থেকে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আটকে পড়ে ময়নাগুড়িতে। শুধু ময়নাগুড়ি নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই রেল রোকো চলছে। কোচবিহার, মালদহেও রেল চলাচল বিপর্যস্ত। আটকে পড়েছে বহু দূরপাল্লার ট্রেন। জানা জাচ্ছে, ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন যাত্রীদের একাংশ। তবে কোনওভাবেই ১২ ঘণ্টার আগে এই অবরোধ তুলতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
কখনও পৃথক উত্তরবঙ্গ, কখনও গোর্খাল্যান্ড, আবার কখনও আলাদা কামতাপুর রাজ্য – টুকরো টুকরো কয়েকটি রাজ্যের দাবি বারবার উত্তরবঙ্গের মাটিতে আঁচ বাড়াতে চেয়েছে। কিন্তু কোনওরকম বিচ্ছিন্নতার রেশ যাতে না পড়ে সেখানকার জনজীবনে, তার জন্য সদাসতর্ক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয়রা বরাবর একতার বার্তা দিয়েছেন। কামতাপুরী আন্দোলনকারীরাও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। তবে মঙ্গলবার রেল অবরোধে নেমে জনজীবন বেশ ভালই বিপর্যস্ত করল বলে মনে করা হচ্ছে।
কামতাপুর পিপলস পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির তরফে বিশ্বনাথ রায় বলেন, ‘কামতাপুর আলাদা রাজ্যের জন্য আমরা অনেকদিন ধরেই আবেদন নিবেদন করে এসেছি। স্বরাষ্ট্রদফতর থেকে নবান্ন, বহু জায়গায় গিয়েছি। তাই এবার আমরা বড়সড় আন্দোলনে নামলাম। কামতাপুর রাজ্য করতেই হবে। তাই এই রেল রোকোর ডাক। আমরা কামতাপুর পিপলস পার্টি ও কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি মিলে কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরামের উদ্যোগে এই কর্মসূচি নিয়েছি। এই দাবি তো আমাদের আজকের নয়।’