পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের একটি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সেখানেই বক্তব্য রাখার মাঝে অসুস্থতা অনুভব করেন যুব নেত্রী সায়নী। তাঁর শুশ্রুষা করেন সভামঞ্চে উপস্থিত মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia)। পিংলা ব্লকের মুণ্ডুমারি এলাকায় গত রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জনসভা করেছিলেন। এদিন দুপুরে সেই জনসভার পাল্টা জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় ভাষণ দিতে দিতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলের যুবনেত্রী (Saayoni Ghosh)।
এদিনের জন সভায় সায়নী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে জনসভায় অন্যতম আকর্ষণ ছিল সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) বক্তব্য। মঞ্চে ভাষণ রাখতে শুরু করতে না করতেই ঘটে ছন্দপতন। অসুস্থ বোধ করেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মঞ্চে চেয়ারে নিয়ে গিয়ে বসানো হয়। মুখেচোখে জল দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। নেতা-কর্মীরা সকলে ছুটে আসেন তাঁর সাহায্যে। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মাথায় দেওয়া হয় আইস প্যাক। কিছুক্ষণের মধ্যেই খানিক সুস্থ বোধ করায় ফের বক্তব্য রাখতে শুরু করেন সায়নী।
দ্বিতীয়বার মাইক হাতে নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করার আগে যুব নেত্রীকে লজেন্স এগিয়ে দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি (Ajit Maity)। এই আন্তরিকতায় আপ্লুত হয়ে সায়নী বলেন, ”এরা এত মিষ্টি যে বুঝতে পারছে না, আমাকে কীভাবে সামাল দেবে। আসলে কী বলুন তো কদিন ভীষণ কাজের চাপ চলছে। শ্যুটিং চলছে, ছবির রিলিজ আছে। প্রচারের জন্য নানা জায়গায় যেতে হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে আমাকে আবার ত্রিপুরা যেতে হবে। মন তো চায় সবসময় আপনাদের কাছে আসতে কিন্তু শরীর বলে একটু ক্ষান্ত দাও। তাঁরই বহিঃপ্রকাশ হয়তো আজকে হল। অথচ দেখুন আমি হাজার হাজার সভা করেছি। কিন্তু কোনওদিন এমন হয়নি। আমি আপনাদের ক্ষমা চাইছি যে কথা বলতে বলতে শরীরটা খারাপ লাগায় বসে পড়লাম। মনে হয় প্রেশারটা লো হয়ে গিয়েছিল।” অসুস্থতার মাঝেও বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ভোলেননি নেত্রী। কটাক্ষের সুরে সায়নী বলেন, ”বিজেপি আজ কাল আর প্রেশার বাড়াতে পারছে না।”