নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৭৫ সালে হকি বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। সেবারই প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ভারত। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হতে চলেছে হকি বিশ্বকাপ ২০২৩। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর ছাড়া টুর্নামেন্টের সব ম্যাচই হবে রাউরকেলায়। হরমনপ্রীত সিংয়ের ভারতকে অন্যতম ফেভারিট বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮ সালেও এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল ভারতে। নিজের মাটিতে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ভারত। এর আগে ১৯৮২ সালে মুম্বাই ২০১০ সালে নয়াদিল্লি এবং ২০১৮ সালে ওড়িশাতে হকি বিশ্বকাপের আসর বসেছিল।
এবার ৪৮ বছরের খরা কাটিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য বিশ্বকাপ হাতে তুলতে মরিয়া ভারতীয় দল। এখনও পর্যন্ত তিনবার শেষ চারে উঠেছে ভারত। ১৯৭১ সালে প্রথম সংস্করণে ব্রোঞ্জ, ১৯৭৩ সালে রৌপ্য এবং ১৯৭৫ সালে স্বর্ণ পদক জিতেছিল ভারত। এটা ছিল ভারতীয় হকির সোনালী যুগ। ভারতীয় দল গত ছয় সংস্করণে শেষ পাঁচে তাদের জায়গা করতেই পারেনি। কিন্তু আগের বিশ্বকাপে ২০১৮ সালে ঘরের মাঠে ষষ্ঠ স্থানে ছিল টিম ইন্ডিয়া। এই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজিত হন ভারতীয় দল। ১৯৯৪ সালে ভারতীয় দল পঞ্চম স্থানে ছিল। গত ২৯ বছরের মধ্যে এটাই ছিল টিম ইন্ডিয়ার সেরা পার্ফমেন্সে।
স্বাগতিক ভারত এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ-ডি-তে ইংল্যান্ড, স্পেন ও ওয়েলসের সঙ্গে রয়েছে। এর মধ্যে এফআইএইচ র্যাঙ্কিংয়ে শুধুমাত্র ইংল্যান্ড দলই ভারতের উপরে। ভারত ষষ্ঠ এবং ইংল্যান্ড পঞ্চম। স্পেন অষ্টম এবং ওয়েলস ১৫ তম স্থানে রয়েছে। ভারতের প্রথম ম্যাচ ১৩ জানুয়ারি স্পেনের বিরুদ্ধে, দ্বিতীয় ম্যাচ ১৫ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং তৃতীয় ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি ওয়েলসের বিরুদ্ধে হতে চলেছে। সম্প্রতি টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় হকি দল দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল। ব্রোঞ্জ পদকও জিতেছে ভারতের ছেলেরা। জার্মানিকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে এই পদক জেতে টিম ইন্ডিয়া। ৪১ বছর পর অলিম্পিক গেমসে হকিতে পদক জিততে সফল হয়েছিল ভারতীয় হকি দল। এবার ৪৮ বছরের খরা কাটিয়ে কি বিশ্বকাপ জিততে পারবে ভারত!