নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেট পেশ করা শুরু করেছেন সকাল ১১ টা থেকে। তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেশবাসী। লোকসভা নির্বাচনের আগে দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ এই বাজেট। অর্থমন্ত্রী সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে নর্থ ব্লকে যান। তারপর সেখানে এই বাজেট নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের আলোচনা সম্পূর্ণ করেই রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওখানে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে দেখা করে তিনি বাজেট অনুমোদনের পর অর্থমন্ত্রী যান সংসদে। তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। অবশেষে ক্যাবিনেট বৈঠককের অনুমোদনের পরই শুরু হয় এই বাজেট। সকাল থেকে এই বাজেটের দিকে তাকিয়েছিল গোটা দেশবাসী। কিন্তু এই বাজেট পেশ হতেই কিছু মানুষের মনে আনন্দ থাকলেও একাংশের মনে উঠেছে ঝড়। এই বাজেটে মহিলাদের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিয়ে আসল নতুন একটা প্রকল্প। তাও আবার স্বল্পসঞ্চয়ে। এই প্রকল্পের নাম ‘মহিলা সম্মানপত্র’। যার সুদের হার মাত্র ৭.৫%। এই প্রকল্পে ২ বছরের জন্য রাখা যাবে ২ লক্ষ টাকা।

তবে এই বাজেট পেশ হতে না হতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের মাটি থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করতে পিচ পা হন নি। তিনি বীরভূমের সভা থেকে সুরের চড়িয়ে জানালেন ‘এই বাজেটে আশার আলো নেই, অন্ধকারের অমাবস্যা আছে। এটা অপরচুনিস্টিক বাজেট।’ তিনি দাবি করেন, ‘বাজেটে একশ্রেণির লাভ, দরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, আয়করে ছাড় দিয়ে লাভ নেই।’ এর পাশাপাশি এই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনায় জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে ৬৬% করেছেন। সেই প্রসঙ্গকে টেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,”রাজ্যের টাকা কেন্দ্রের কাছে জমা পড়বে, সেখান থেকে রাজ্যের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমার টাকা আমি জমা করছি। সেই টাকা ওরা ফিরিয়ে দেবে। ওরা সেই টাকা দেয় না।”