29 C
Kolkata

Cancer: ছোট ভুলেই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি, সতর্ক হন

ক্যানসার অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সবথেকে বড় কথা, এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকেই চিকিৎসকের কাছে আসেন না। রোগটির গুরুত্ব বুঝতে বুঝতেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন। ক্যানসারকে নিয়ে সচেতনতা খুবই কম। বিশেষত, আমাদের মতো দেশে এই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে বেশিরভাগেরই কোনও সচেতনতা নেই। ফলে অসুখ অনেকটা গড়িয়ে যাওয়ার পর রোগী চিকিৎসকের কাছে আসছেন।

মুখের ভিতরে হয় মাউথ ক্যানসার। এক্ষেত্রে ঠোঁট থেকে শুরু করে মুখগহ্বরের যে কোনও ধরনের ক্যানসারকে বলা হয় মুখের ক্যানসার। ঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে প্রাণ বাঁচে। তাই এই ক্যানসার নিয়ে সচেতন হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই। জানেন এই লক্ষন – ১. কোনও ঘা যা শুকাতে চাইছে না। ২. সাদা বা লাল রঙের কোনও প্যাচ। ৩. দাঁত আলগা হয়ে যাওয়া। ৪. মুখের ভিতর কোনও মাংসপিণ্ড ফুলে ওঠা। ৫. কানে ব্যথা। ৬. গিলতে গেলে খুব ব্যথা ইত্যাদি। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে সোজা চিকিৎসকের কাছে যান। তবেই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

আরও পড়ুন:  Viral News: আধঘন্টার পরিচিতিতে কিডনি দিতে রাজি ক্যাব চালক !

​ক্যানসার যে কারও হতে পারে। তবে কিছু মানুষের ঝুঁকি থাকে বেশি- ১. গুটকা, বিড়ি, সিগারেট সহ যে কোনও ধরনের তামাক সেবন করার জন্য মুখের ক্যানসার হতে পারে। ২. প্রচণ্ড মদ্যপান যাঁরা করেন তাঁদের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ৩. বেশিক্ষণ রোদে থাকলে জিভে ক্যানসার হতে পারে। ৪. হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের দরুন এই রোগ হতে পারে। ৫. ইমিউনিটি দুর্বল হলে অবশ্যই সমস্যা হতে পারে।

মুখের যে কোনও অংশে হতে পারে মাউথ ক্যানসার। তবে দেখা গিয়েছে, এই অংশগুলির রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি- ১. জিভ ২. মাড়ি ৩. গালের ভিতরের দিকে ৪. জিভের নীচের দিকে ৫. তালুতে ৬. শেষের দিকের দাঁতের পিছনের অংশে ইত্যাদি।

আরও পড়ুন:  Business: ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ বিদেশে রপ্তানি করে কোটিপতি

চিকিৎসক প্রথমে সমস্যার জায়গাটি দেখতে পারেন। হাত দিয়ে ধরেও পরীক্ষা করতে পারেন। এছাড়া করা যেতে পারে ব্রাশ বায়োপসি বা স্ক্র্যাপ বায়োপসি। এই দুই বায়োপসির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সার্জারি, কেমো বা রেডিয়েশনের সাহায্য নিতে হয়। রোগীর অবস্থা বুঝে তারপরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাই দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে।

মাউথ ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। সেক্ষেত্রে এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন- ১. ধূমপান বন্ধ। ২. তামাক জাতীয় কোনও কিছু চিবাবেন না। ৩. মদ্যপান ছেড়ে দিন। ৪. এইচপিভি ভাইরাসের টিকা নিন। এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে পারলেই অনায়াসে রোগ দূরে থাকে।

Featured article

%d bloggers like this: