চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা এখন কম-বেশি অনেকেরই রয়েছে। মহিলা থেকে পুরুষ এই সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। স্নান করা, চুল আঁচড়ানো, শ্যাম্পুর পরে নানা সময় চুল ঝরে পড়তে দেখা যায়। বিশেষ করে গরম কালে এই সমস্যা যেন বেশিই হয়ে থাকে। কিন্তু কেন ?বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমকালে অত্যাধিক তাপের কারণে ঘাম হয়। মাথার ত্বকও ঘামতে থাকে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। যার কারণে চুল উঠতে শুরু করে। এ ছাড়াও ঘাম ও মাথার ত্বক বা স্কাল্প-এর স্বাভাবিক তেলের ফলে চুলে তৈলাক্ত ভাব এসে যায়। চুলে জট পড়ে যায়। ফলে চুল আঁচড়াতে গেলেই চিরুনিতে চুল জড়িয়ে যায়। চুলের ফুরফুরে ভাবও নষ্ট হয়ে যায়। আপনার স্টাইলের দফারফা।
আপনার সুন্দর চুলের বারোটা বাজার আগেই তার যত্ন নিন। মেনে চলুন ঘরোয়া কিছু টোটকা। জীবনযাত্রায় আনুন সামান্য কিছু পরিবর্তন। সুন্দর ঘন চুলের পাশাপাশি চুল ওঠা থেকেও মুক্তি পাবেন।
• একদিন অন্তর অন্তর শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার সময় আঙ্গুল দিয়ে হালকা করে মাথায় মাসাজ করুন। তারপর কোন ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
• একটি পাত্রে তিন-চার চামচ পাতিলেবুর রস নিন। তাতে অল্প পরিমাণে জল মিশিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় আলতো হাতে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট রাখুন। তার পরে তিন-চার চামচ নারকেল তেল বা আমন্ড তেল মাথায় মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুই দিন স্নান করার আগে এটি করার চেষ্টা করুন। চুলের গোড়া মজবুত হবে।
• স্নান করার আগে স্ক্যাল্প-এ অ্যালোভেরা রস বা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
• বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে চুলে জেল, ওয়াক্স, হেয়ার স্প্রে-এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
• হেয়ার স্পা করা চুলের জন্য খুবই উপকারী। মাসে একবার বা দুবার হেয়ার স্পা করতে পারেন।
• স্নান করে বেরুনোর পর ভিজে চুল জোরে জোরে মুছবেন না। এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে অনেক চুল উঠে যেতে পারে।
• চুলে হেয়ার ড্রায়ার বা হেয়ার স্ট্রেটনার ব্যবহার না করাই ভালো। পরে এতে চুলের ক্ষতি হয়।
• বেশি করে জল খান। খাবারের পাতে রাখুন টাটকা সাকসবজি।
• বাইরে বেরোনোর সময় ছাতা ব্যবহার করুন। টুপি পরলে পরিস্কার এবং সঠিক মাপের টুপি পরুন।