গরমে তৃষ্ণা মেটাতে কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার অভ্যাস প্রায় অনেকেরই আছে। কিন্তু এতে শরীরের ঠিক কতটা ক্ষতি করছেন জানেন কি ? গরমে তৃষ্ণা মেটাতে আদৌ কোল্ড ড্রিংক খাওয়া কি উচিত ?শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধছে। কারণ কোল্ড ড্রিংকের প্রতিটি চুমুকেই শরীরে ঢুকছে বিষ! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?
গরমে রোদ থেকে ঘুরে এসেই ফ্রিজ খুলে ঢক ঢক করে কোল্ড ড্রিংক খেয়ে নিলেন। অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার পথেও দোকান থেকে কোল্ড ড্রিংক খেয়ে থাকেন অনেকে। এভাবে শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন ? প্রচন্ড গরমে আমাদের এই অভ্যাসই ডেকে আনছে বড় বিপদ। কোল্ড ড্রিংক খেলে লাফিয়ে বাড়তে পারে ওজন এই যে রং বেরঙের কোল্ড ড্রিংক খাচ্ছেন। এতে দাঁতেরও ক্ষতি হতে পারে গরমে কোল্ড ড্রিংক মুখে ঢালতেই যেন ক্লান্ত উধাও।
পুড়ে যাওয়া দুপুরের রোদ যেন তখন রাতের ঠান্ডা হাওয়া। কিন্তু জানেন কি, ঠান্ডা পানীয় খেলে তৃষ্ণা তো মেটেই না, বরং আরও বেড়ে যায়।এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কোল্ড ড্রিংকের মূল উপাদান তো জল। তাতে আবার ক্ষতি কী হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সঙ্গে মেশানো থাকে ভালো পরিমাণে খাওয়ার সোডা কোল্ড ড্রিংক খেয়েই ফ্যাটি লিভারের বারোটা বাজছে। আসলে সব কোল্ড ড্রিংকেই প্রচুর পরিমানে চিনি থাকে।
আর চিনি শরীরকে ভারী করে দেয় কোল্ড ড্রিংকের মাধ্যমে এই অতিরিক্ত পরিমানে চিনি খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ছোট বয়সেও সুগার, প্রেশারের কারণ হতে পারে এই পানীয়। আরও কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক এই এখানে ব্যবহার হয়ে থাকে।হাই ক্যালোরি ড্রিংকসে থাকা অনান্য রাসায়নিক গুলিও শরীরে সমস্যা তৈরি করে।
কোল্ড ড্রিংকসে ক্যালোরি থাকলেও তার মধ্যে কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না। শরীরে কোনও পুষ্টি মেলে না বরং সুগার-প্রেশার ধরলে আবার বাড়াতে পারে হার্টের রোগের ঝুঁকি। কোল্ড ড্রিংকসে থাকা ফসফোরিক অ্যাসিড হাড়ের ক্ষয় করে।কোল্ড ড্রিংক খেলে অকাল বার্ধক্য দেখা দিতে পারে। এমনকি মানুষের মনে হিংস্রতাও দেখা দেয়।চিকিত্সকরা বলছেন এমনটাই।