24 C
Kolkata

Tea Cup: কাগজ – প্লাস্টিকের কাপে চা খান ? রোগের খপ্পড়ে পড়ার আশঙ্কা তুঙ্গে

বর্তমানে চায়ের দোকানগুলিতে এখন কাচের গ্লাসের বদলে ব্যবহার হচ্ছে কাগজের কিংবা প্লাসটিকের কাপ। কাচের গ্লাস পরিষ্কার করা, যত্ন করে রাখা, এসবের ঝক্কি অনেক ! আর এদিকে কাগজের কাপ বা প্লাস্টিকের কাপের ক্ষেত্রে এত ঝামেলা নেই। তাই তো চায়ের দোকানে এমন কাপের ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে। কিন্তু জানেন কি, এর থেকে কতটা ক্ষতি হতে পারে ? গবেষণায় বলছে কাগজের কাপে থাকে হাইড্রোফোবিক ফিল্ম নামে এক ধরনের মাইক্রোপ্লাস্টিক। যাতে গরম চা ঢাললেই সেই প্লাস্টিকের কণা কয়েক মিনিটের মধ্যেই মিশে যায় চায়ে। গবেষকরা জানাচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় কয়েক হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশে যেতে পারে আপনার সাধের চায়ে। আর তার থেকে বিপত্তি বাড়তে পারে। বিশেষ করে একাধিক রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।

মাটির ভাঁড়ের বদলে যে হারে প্লাস্টিকের কাপের ব্যবহার আমাদের দেশে শুরু হয়েছে, তাতে আমাদের শরীর রোগমুক্ত রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে ভারতে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক বেশি। আর তা থেকেই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। সাম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বিশ্বে ক্যানসার বিস্তারের পরিসংখ্যান অনুসারে চিন ও আমেরিকার পরই ভারতের স্থান। প্রতি বছরই আমাদের দেশে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৪.৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে।

আরও পড়ুন:  Akanksha Dubey: হোটেলের ঘরে উদ্ধার ভোজপুরী অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ

গবেষণায় জানা গিয়েছে, ক্যানসারের একটা অন্যতম কারণ হল যথেচ্ছ পরিমাণে প্লাস্টিকের ব্যবহার। বিশেষ করে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে রাস্তার খাবারের দোকান! জলের বোতল থেকে শুরু করে চায়ের কাপ, সবেতেই প্লাস্টিক। নামী-দামি রেস্তোঁরা বা কফি শপেও আকছার প্লাস্টিকের ড্রিঙ্ক পট দেখা যায়। আর এ সবের হাত ধরে এমন মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পথ প্রশস্ত হচ্ছে।

প্লাস্টিকের চায়ের কাপ থেকে মুখে এবং লিভারে ক্যানসার ছড়াতে পারে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের মুখ্য গবেষকরা তেমনটাই জানিয়েছে। তাঁদের মতে, চায়ের কাপ মূলত মাইক্রোপ্লাস্টিক দিয়েই তৈরি হয়। এর মধ্যে যে টক্সিক পদার্থ, বিসফেনল রয়েছে, তা ক্যানসারের অন্যতম কারণ। মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের কার্যকারিতাও কমায় এই ক্ষতিকারক উপাদান। অন্যদিকে পুরুষদের শুক্রাণু কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই বিসফেনল।

আরও পড়ুন:  Sweet Recipe: মিষ্টির বদলে শেষ পেতে চেখে দেখুন লোভনীয় মিল্ক ডেজার্ট 

মাটির ভাঁড়ের তুলনায় প্লাস্টিকের কাপ সস্তা ও সহজলভ্য। তবে এই ধরনের কাপ তৈরি করতে যে সব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। শ্বাসকষ্ট, অটিজম থেকে শুরু করে স্তন ক্যানসারের মতো ভয়াবহ অসুখ ছড়াতে পারে এর থেকেই। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান হন। প্লাস্টিকের চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া এড়িয়ে যান। না হলে কিন্তু বিপদ !

Featured article

%d bloggers like this: